স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক হোক মধুময়:
নিজের স্ত্রীদের সাথে মধুর সম্পর্ক বজায় রাখুন। তাদের সব বিষয়েয় প্রতি লক্ষ্য রাখুন। ঘরের স্ত্রীরা স্বামীর সঙ্গে ভালোবাসামোহিত ঘনিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারলে মুচকি হেসে স্বামীকে অভ্যর্থনা জানালে স্বামীর চিন্তা পরনারীর প্রতি যায় না। একটু ভেবে দেখুন, যদি স্বামী ও স্ত্রীদের প্রতিদিনের সম্পর্কটা বিরক্তিমাখা ঝগড়াপূর্ণ হয়, মন খারাপ করে স্বামী নাস্তা ছাড়া অফিসে চলে যায়, আর সেখানে পর্দাহীনা কোনো সহকর্মী হাসির আভা ছড়িয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে, স্যার! কেমন আছেন আপনি! তখন এই নারীর এই হাসিটা দাম্পত্যজীবনের জন্য বিষের ভূমিকা পালন করে। এভাবেই সংসারে ভাঙ্গন ধরে। ঘরে যখন সুন্দরী স্ত্রীরা ঝগড়াটে হয় তখন বাইরের কুশ্রী নারীও ‘জান্নাতের হুর’ মনে হয়। এজন্য স্বামী ও স্ত্রীদের উভয়ের চেষ্টা থাকা উচিত, সংসারে যেন প্রেম-ভালোবাসার পরিবেশ থাকে। তখন বাইরের প্রতিকূলতা থেকে নিরাপদ থাকা সহজ হবে। সাধারণত কুদৃষ্টির গুনাহর শিকার হন তারাই যাদের একজনও স্ত্রী নেই কিংবা স্ত্রী বা স্ত্রীরা থাকলেও জৈবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে স্ত্রীরা পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারে না।
আসলে স্ত্রীদের থাকার উদ্দেশ্য কি?
কুরআনে স্ত্রীদের ‘উদ্দেশ্য’ বলা হয়েছে—
لِتَسْكُنُوْآ اِلَيْهَا
“যাতে তোমরা তাদের কাছে স্বস্তি লাভ কর।”
যে স্ত্রীদের কাছে স্বামী অস্বস্তিতে থাকে, সে স্ত্রীরা আল্লাহ তাআলার কাছে কী জবাব দিবে? এখনকার যুবকেরা যে উদ্দীপনা নিয়ে অশ্লীল ভিডিও দেখে অনুরূপ আগ্রহ নিয়ে যদি নিজের স্ত্রীদেরকে দেখত তাহলে তাদেরকে জান্নাতের হূর মনে হত। প্রসিদ্ধ আছে, ভালোবাসার আতিশয্যের কারণে জুলায়খা প্রতিটি জিনিসের নাম রেখেছিলেন ‘ইউসুফ’। তার কাছে ইউসুফ ছাড়া দুনিয়ার অন্যকিছু চোখে ভাসত না। স্বামী ও স্ত্রীদের মাঝে এরূপ অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকলে স্বামীর দৃষ্টি পরনারীর প্রতি যাবে না।