একজন আলিমের অন্যতম দায়িত্ব-
ইসলামের সঠিক রূপ এবং সঠিক মাসয়ালা সাধারণ মানুষের কাছে যতই অপরিচিত হোক না কেন— সেটা তাদের কাছে গোপন না করে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে প্রকাশ করে দেওয়া একজন আলিমের অন্যতম দায়িত্ব। হতে পারে আপনার সে মাসয়ালা শুনে সাধারণ মানুষ আশ্চর্য হবে বা আপনাকে গুরাবা হয়ে যেতে হবে। হোন না আল্লাহর জন্য গুরাবা— যার প্রতিদান হলো জান্নাত। একজন আলিমের দায়িত্ব হল তাওহিদ ও জি/হা\দের পথে অটল-অবিচল হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া। যেভাবে ইমাম আবু হানিফ অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত জেল থেকে তার জানাযা বের হয়েছিল। রাহিমাহুল্লাহ।
যেভাবে ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বল মুতাযিলাদের ফিতনার সময় জালিম খলিফার শাস্তি ও ক্রোধকে উপেক্ষা করে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন—
لا والله، القران كلام الله
না, আল্লাহর কসম! কুরআন আল্লাহর কালাম; মাখলুক নয়।
যার জন্য প্রতিদিন তাকে অসংখ্য চাবুকের আঘাতে জর্জরিত করা হতো। রাহিমাহুল্লাহ।
একজন আলেমকে এটা মনেপ্রাণে বুঝতে হবে যে, এ দিনের পথে চলতে হলে জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে হবেই। কারণ নবীগণ তার সহ্য করেছেন। অতএব দিনের পথে যত জরম নির্যাতন আসবে তা সহজভাবে মেনে নিতে হবে। যেমনটা শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা বলেছিলেন—
ما يفعل أعدائي بي؟ سجني خلوة، ونفيي سياحة، وقتلي شهادة.
আমার শত্রুরা আমাকে কি করতে পারবে? আমাকে বন্দী করলে সেটা আমার (রবের সঙ্গে একান্ত সময় কাটানোর জন্য) নিঃসঙ্গবাস, দেশন্তর করলে সেটা আমার (ইলমের তরে) ভ্রমণ আর আমাকে হত্যা করা হলে সেটা হবে আমার শাহাদাহ—শহিদি মৃত্যু। রাহিমাহুল্লাহ।
ইলমের পথে তাদের এই অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন অবস্থানের কারণে আজও তারা সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।