হে বঞ্চিত! এমন এক জিনিস তুমি হারালে !

হে বঞ্চিত! এমন এক জিনিস তুমি হারালে !

ইমাম বায়হাকি শুআবুল ইমান গ্রন্থে কাসিম ইবনু উসমান আল জাওঈ সূত্রে বর্ণনা করেন – তিনি বলেন,

আমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফের সময় এক ব্যক্তিকে দেখলাম। আমি তার কাছে গিয়ে শুনতে পেলাম, সে শুধু একটি কথাই বলছে, “হে আল্লাহ আপনি অভাবীদের প্রয়োজন পূরণ করে দিয়েছেন, আর আমার প্রয়োজন এখনো পূরণ হলো না”।
আমি তাকে বললাম আপনার কি হলো একটি কথা ছাড়া আর কিছুই বলছেন না? তখন তিনি বললেন আমি তোমাকে ঘটনা বর্ণনা করছি।

আমরা সাতজন বন্ধু ছিলাম বিভিন্ন দেশের। আমরা শত্রুর ভূমিতে অভিযান চালাই। তখন আমরা প্রত্যেকেই বন্দি হই। আমাদের শিরশ্ছেদের জন্য আমাদেরকে আলাদা করা হয়। তখন আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে সাতটি দরজা দেখতে পাই। প্রতিটি দরজায় একটি করে সাতটি ডাগর চক্ষু বিশিষ্ট হুর দেখতে পাই।
অতঃপর আমাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তিকে সামনে এনে শিরশ্ছেদ করা হয়। তখন আমি একটি হুরকে দেখতে পাই যার হাতে একটি রুমাল; ওই হুর মাটিতে নেমে আসে। এভাবে ছয় জনের শিরশ্ছেদ করা হয় এবং আমি বাকি থেকে যাই। তখন একটি দরজা ও একটি হুর অবশিষ্ট থাকে। আমার শিরশ্ছেদের জন্য যখন আমাকে নেয়া হয়, তখন তাদের এক ব্যক্তি আমাকে চেয়ে বসে। তখন আমাকে তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন আমি হুরকে বলতে শুনি,
হে মাহরুম!
হে বঞ্চিত!!
এমন এক জিনিস তুমি হারালে!!!
এ কথা বলে সে দরজা বন্ধ করে দেয়।

হে ভাই, আমি যা হারিয়েছি তার জন্য এখন আফসোস করছি।

কাসিম ইবনু উসমান বলেন, আমি মনে করি, এই ব্যক্তি ওই সাত জনের মধ্যে সর্বোত্তম। কারণ সে এমন কিছু দেখেছে যা অন্যরা দেখেনি। তাই সে আগ্রহ ভরে আমল করে যেতে পারছে।

|| শুআবুল ইমান – ইমাম বায়হাকি রহ., হাদিস নং- ৪০১৭ ||

আবদুল্লাহ আল মামুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *