আসুন বিদায়ের পূর্বে কিছু পদচিহ্ন আঁকি

আসুন বিদায়ের পূর্বে কিছু পদচিহ্ন আঁকি-

যেসব আমলের উপকার আমলকারী থেকে অন্য মানুষের মাঝে সঞ্চারিত হয়, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য সেসব আমলগুলোই অধিক সহায়ক। কারণ এসব আমলের উপকার ও প্রতিদান শুধু আমলকারীর মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং অন্য মানুষ এমনকি অন্যান্য প্রাণীর মাঝেও তা সঞ্চারিত হয়। ফলে এ কাজের ফল ব্যাপকভাবে সবাই ভোগ করে।

এই উপকারী নেক আমলের মধ্যে আবার সেসব আমল আরো বেশী উত্তম, মৃত্যুর পরেও যার প্রতিদানের ধারা বন্ধ হয় না। মৃত্যুর পরে যখন মানুষ কবরে একাকী ও নিঃসঙ্গ অবস্থায় থাকবে, তখন সেসব আমলের প্রতিদান কবরের জীবনে তিনি পেতে থাকবেন। এজন্য যেকোন মুসলিমের কর্তব্য হবে নশ্বর এই দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্বে এমন কিছু আমল রেখে যাওয়া, যা দ্বারা পরবর্তীকালে অন্য মানুষ উপকৃত হবে এবং সেও এর মাধ্যমে কবরে ও পরকালে উপকৃত হবে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِنْدَ اللهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا

বস্তুত: তোমরা নিজেদের জন্য যতটুকু সৎকর্ম অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। সেটাই উত্তম ও পুরস্কারের দিক থেকে মহান। —আল-মুযযাম্মিল ৭৩/২০

কবি বলেন,

وَكُنْ رَجُلاً إِنْ أَتَوْا بَعْدَهُ

يَقُولُونَ مَرَّ وَهَذَا الأَثَرُ

তুমি এমন মানুষ হও, যার বিদায়ের পরে অন্য যারা আসবে তারা বলবে, লোকটা চলে গেছে বটে, তবে এঁকে গেছে এই পদচিহ্ন।

সুতরাং এসো! বিদায়ের পূর্বে এই নশ্বর পৃথিবীতে এমন কিছু পদচিহ্ন এঁকে যায়, যার দ্বারা পরবর্তীগণ উপকৃত হবেন। আমরা বিদায়ের পরেও তার প্রতিদান পেতে থাকবো। সেগুলিই আমাদের পরকালীনজীবনের নিঃসঙ্গতা ঘুচাবে।

আবদুল্লাহ আল মামুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *